শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীর কাঁচা বাজারে আগুন, হাত দিলেই লাগছে ছেঁকা

রাজশাহীর কাঁচা বাজারে আগুন, হাত দিলেই লাগছে ছেঁকা

রাজশাহীর কাঁচা বাজারে আগুন, হাত দিলেই লাগছে ছেঁকা
রাজশাহীর কাঁচা বাজারে আগুন, হাত দিলেই লাগছে ছেঁকা

এসএম বিশাল: গত সপ্তাহেও কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই কাঁচা মরিচই কেজিপ্রতি ১২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর সাহেব বাজারের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেলো, কাঁচাবাজারে সব সবজির দামই কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, আদার দাম কেজিপ্রতি ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। রসুন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেলো, সব শাকসবজির দামই কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা, ডুমুর ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পটল ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কলা প্রতিহালি ২০ থেকে ২৫ টাকা, তরই ৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিনের বন্যায় অনেক জেলার সবজি এখন পানিতে ডুবে গেছে। তাই রাজশাহীর সকল সবজি ঢাকার ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আগের মত সবজি পাচ্ছি না। যেসব সবজি রয়ে গেছে তা চড়া দামে পাইকারি কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। এইজন্য দাম বেড়েছে। তবে মুরগি কেজি প্রতি কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এছাড়া মাছ, মাংস ও মুদি দোকানের সকল পণ্যের দাম আগের মত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে এখন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আসতে আসতে কমতে পারে সবজির দাম।

সালবাগান সবজি বাজারের ক্রেতা নিলুফা বেগম জানান, গত সপ্তাহ থেকে এখন সকল সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুন আজ সবজিগুলো দ্বিগুন দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। মাস্টারপাড়ার সবজি বিক্রেতা মাজদার আলী জানান, সবজির বাজার এখন অনেক বেশি। এখন সকল সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে সিংহভাগ সবজি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। সিংহভাগ সবজি ঢাকায় যাওয়ায় রাজশাহীতে সবজির দাম চওড়া।

এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির বাজারে সাদা লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, সোনালী ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা, হাঁস ২৮০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, ৫৪০ টাকা, বকরি ৬০০ টাকা, খাসি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাংস কিনতে আসা ক্রেতা রহমান জানান, সকল মাংসের দাম আগের মতই আছে। আমি চাকরি করি ফ্রি সময় বলতে শুক্রবার ফ্রি থাকি তাই বাজারে চলে আসি। সবজির বাজার করা শেষ হয়েছে। তবে সবজির দাম অনেক বেশি। মাংস ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, মাংসের দাম এখন পর্যন্ত কমার কোন সম্ভাবনা নেই। আগের মতই আছে।

এদিকে মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ও দেশি প্রজাতির সকল মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। প্রতিকেজি গুচি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, বাইম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, রিঠা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, জাপানি রুই ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, টাকি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, বাটা ২০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০, পিউলি ৫০০, ময়া ৫৫০, মিরকা ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চিতল ৪৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, ফলি ৩০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছ কিনতে আসা রোকেয়া আখতার জানান, সকল প্রজাতির মাছের দাম এখন পর্যন্ত কমেনি। অথচ কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে হাটে বাজারে থেকে তো নতুন মাছ আসছে। কিন্তু মাছের দাম কমছে না কেন? মাছ ব্যবসায়ী আইনুল হক জানান, আমাদের পাইকারি দামে আগের মতই মাছ কিনতে হচ্ছে তাই আগের মত দাম রাখতে হচ্ছে।

অন্যদিকে চালের বাজারে দেখা যায়, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে, ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৫ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, কাজল লতা ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কালিজিরা ৮৫ টাকা, চিনিগুড়া ৯০ টাকা, কাটারি আতপ ৭০ টাকা, পায়জাম আতপ ৬০ টাকা, মোটা আতপ ৫০ টাকা, আউশ ৪০ টাকা, বলাম ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম ৩৬ টাকা, সাদা ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ৩০ অক্টোবর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply